অলোক মজুমদার, চিতলমারী বাগেরহাটঃ

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ননী গোপাল বিশ্বাস কর্তৃক ৬ষ্ঠ শ্রেনির না বালিকা ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ  পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে  জানতে মেম্বর ননীর সাথে যোগাযোগ করা যায়নি তবে তার ভাই বাবলুকে ঘটনা জানতে চাইলে কোন উত্তর দেয়নি।

পাঁচপাড়া নিবাসী রনজিত বিশ্বাসের ছেলে ননী গোপাল এক সন্তানের জনক। ছেলের বয়সী মেয়েকে সুযোগ পেয়ে হাত মুখ বেঁধে জোর করে ধর্ষন করে। পাঁচপাড়া নিবাসী বৈদ্যনাথ বাড়ৈ এর মেয়েকে।

পুলিশ এবং  ভিকটিম সূত্রে জানাগেছে  চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য ননী গোপাল ত্রান দেবার জন্য বৈদ্যনাথ বাড়ৈ এর বাড়ি যায়। বাড়িতে কেহ না থাকার সুযোগে ঘরে বসে ভিকটিমকে জল দেবার জন্য বলে। জল নিয়ে  আসলে লম্পট ননী গোপাল মেয়েটিকে জাপটে ধরে ঘরে নিয়ে হাত মুখ বেঁধে উর্পযুপরি ধর্ষন করে। ধর্ষক পালিয়ে গেলে মেয়েটি লোক লজ্জার ভয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করতে যায়। মেয়ের মা এসময় বাড়িতে এলে মেয়েটি তার মাকে ঘটনা খুলে বলে। পরে বাড়ির সদস্যদের জানালে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। থানায় মামলা হযেছে। এ ঘটনার পর ননী গোপাল পলাতক রয়েছে।

পাঁচপাড়া  নিবাসী অনেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে বলেন আমরা মেম্বরের অত্যাচারে অতিষ্ট তাকে কোন কিছু বললে মামলার ভয় দেখায়।

দালালি থেকে শুরু করে জাল দলিল করতে ওস্তাদ। অনেকদের জমি জাল করে বিক্রি করে সর্বশান্ত করেছ অনেক পরিবারকে এবং  হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা।

অনেকে অভিযোগ করেন, তার বাবা লস্পট। বুড়ো বয়সে এখনো লুচ্চামি করে এটা গ্রামের লোকজন জানে। তার ছেলে এমনটা করবে। আমরা এর উপযুক্ত বিচার চাই। ভিকটিমদের পরিবার উপযুক্ত শাস্তি চায় ধর্ষক মেম্বরের।

চিতলমারী থানার ওসি(তদন্ত) ইকরাম হোসেন বলেন ঘটনা শুনে আমরা ভিকটিমের বাড়িতে যাই। ধর্ষনের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। ইউপি সদস্য যে জঘন্য কাজ করছে তার সঠিক বিচার হবে।